### একটি রোমান্টিক কাহিনী- নতুন সাইকেল ### A Romantic Story-New Cycle ###

গ্রামের একটি সহজ সলর ছেলে,একটু মুখচোরাও বটে নাম অর্জুন।একটা হাতল ভাঙা সাইকেলে ছেড়া কাপড় বেঁধে রোজ স্কুলে যেত। তার উপর সাইকেলটা চালালে বেলটা দমকলের গাড়ির ঘন্টার মতো টিং টিং করে বেজেই চলতো। পড়াশুনায় ভাল নয় বলে তার বাবা নতুন সাইকেল কিনে দিচ্ছেন না। ঝালাই-সারাই করে কোনো মতে স্কুল ও টিউশন চলছে সেই সাইকেলে। পাশের পাড়ার একটি ভীষণ গরীব মেয়ে ছিল তার নাম মামনি। গরীব হলেও দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দরী ছিল মামনি। যে কেউ যে কোনো সময় প্রেমে পরতে পারে। সে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে দীর্ঘ 4 মাইল পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে। তারা অবশ্য দুজন দুজনের পরিচিত ছিল । একদিন মামনি বান্ধবীদের সাথে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল।অর্জন তাদের পাশ দিয়ে সাইকেলে যাচ্ছে এমন সময় মেয়েরা সকলে মিলে কোনো কারণে হেসে উঠলো। এতে অর্জন ভাবল আমার সাইকেলের অবস্থা দেখে মেয়ে গুলো আমাকে নিয়ে হাসলো। তাই সে মনে মনে কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে লজ্জায় সাইকেল জোরে চালিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।তারপর সারা দিন রাত সেই হাসির কথা মনে করে লজ্জা ও অপমানে কষ্ট পেতে লাগল। কিন্তু কষ্ট পাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই, কারণ এবার রেজাল্ট ভালো না করা পর্যন্ত বাবা তাকে নতুন সাইকেল কিনে দেবেন না। তাই অগ্যতা মনের কষ্ট মনে রেখে পরের দিন সেই সাইকেলে চেপে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বাড়ী থেকে বেরোতে সেদিন দেরি হয়েছে বলে সাইকেল দ্রুত চালাচ্ছিল। কিছু দুর আসতেই রাস্তায় সেই  "মামনি" কে সে দেখতে পেল। আজকে সাথে কেউ নেই, ওর হয়তো আজ বেরোতে দেরি হয়েছে। অর্জনের সাইকেলের বেলের অটোমেটিক ঘন্টার ধ্বনি শুনে মেয়েটি পিছন ফিরে তাকিয়ে থমকে দাঁড়াল এবং অর্জন কাছে আসতেই  মিষ্টি সুরে বলল, "ওই অর্জন আমাকে একটু সাইকেলে নিয়েযাবি "। ছেলেদের ও মেয়েদের স্কুল আলাদা হলেও রাস্তা একটাই । অর্জন দাঁড়াল,একে ভাঙ্গা সাইকেল তার উপর পিছনে কেরিয়ার নেই কি করে সে মেয়েটাকে এই সাইকেলে বসিয়ে নিয়ে যাবো এই কথা ভাবছে। ইতিমধ্যে মেয়েটার পাড়ার  অনেক কয়েকটা ছেলে পাশ দিয়ে নতুন ও কেরিয়ার থাকা সাইকেল নিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু মেয়েটা ওসব ভ্রূক্ষেপ না করে অর্জনের সাইকেলের সামনের রডে এসে বসে বললো ,"চলো"। অর্জন লজ্জায় বাকরুদ্ধ হয়ে সাইকেল চালাতে লাগলো । মেয়েটিরও মুখে আর কোনো কথা নেই। এভাবে নিরব প্রাণী দুটি রাস্তার সেই মোরে এসে পৌচ্ছাল যেখান থেকে দুজনের রাস্তা আলাদা। মেয়েটা নেমে চুপচাপ নিজের স্কুলের দিকে পা বাড়াল ছেলেটা গেল নিজের স্কুলে। এভাবেই তাদের প্রথম দিন নিশ্চুপ ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে চলে গেল। পরের দিন বাড়ী থেকে বেরিয়ে মামনি ইচ্ছেকৃত ভাবেই রাস্তায় অর্জন আসার অপেক্ষা করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর সেই ভাঙ্গা সাইকেলের ঘন্টা বাজাতে বাজাতে অর্জুন আসলো এবং মামনিকে দেখে নিশ্চুপ ভাবে দাঁড়িয়ে পরল। মামনিও নিঃশ্চুপে, নির্দ্বিধায় সাইকেলে চাপল। এর পর একে অপরের কথা আগে শোনার অপেক্ষায় রাস্তা শেষ করলো। তারপর স্কুল। মামনি ভাবতে লাগল ছেলেটা হয় অহংকারী নয়তো লাজুক,দু'দিনে একটু কথাও বললো না। অর্জন ভাবছে কি করে কথা বলা শুরু করি! যদি আগ বাড়িয়ে কথা বললে মেয়েটা খারাপ ভাবে ,আর ও তো আগে কিছু বলতে পারে। তারপর কিছু দিনের মধ্যে সমস্ত জড়তা, লজ্জা কাটিয়ে দুজনের মধ্যে কথা শুরু হলো। ধীরে ধীরে দুজন দুজনকে মনে মনে ভালোবাসতে শুরু করলো। অনেক খুশি আর অব্যক্ত ভালোবাসা নিয়ে দুজনের দিন ভালোই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু দুজনেই একে অপরের মুখ থেকে প্রথমে ভালোবাসার প্রস্তাব পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করতে লাগল। কথায় আছে মেয়েদের বুক ফাটে তবু মুখে ফোটে না।তাই অগ্যতা, অর্জনই সিদ্ধান্ত নিল কাল যে করেই হোক ভালোলাগার কথাটা মামনি কে বলবেই। পরের দিন অর্জন সেজে-গুজে আগে থেকেই রাস্তায় গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু মামনি এলো না। পরের দিনও তাই। অর্জনের মন হতাশায় ভরে গেল । অর্জন জানতো না কোন কারণে মামনি স্কুলে আসছে না। মামনি কে দেখার জন্য অর্জনের মন উতলা হয়ে উঠলো,কোন এক অজানা কারণে। অর্জন অনুভব করতে শুরু করলো এই অজানা কারণই ভালোবাসার প্রথম ধাপ নয়তো? সোজা তার বাড়ী গিয়ে খবর নেওয়ার মতো  সাহসও তার ছিল না। তাই অযথা অস্থির না হয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া অর্জনের অন্য কোনো উপায় ছিল না।তিন দিন পর সেই স্কুল যাওয়ার পথেই দুজনের দেখা হল। অর্জন মামনির কাছে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে বলল, "উঠে আসো"। মামনি প্রথমে ইতস্ততঃ করে পরে চুপচাপ সাইকেলে উঠলো। অর্জন অনুভব করলো আগের মতো উৎফুল্লতা মামনি চেহারাতে নেই। তবুও অর্জন জিজ্ঞেস করল তিন দিন ধরে স্কুলে যাচ্ছো না কেন? শরীর খারাপ করেছিল,নাকি কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলে? মামনি বলল কোনোটাই নয়। অর্জন বললো তবে স্কুলে যাচ্ছিলে না কেন? আজকে আমি তোমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো। আর তুমি জানো, এই তিন দিন তোমাকে দেখতে না পেয়ে আমার মনের কি অবস্থা হয়েছে ? মামনি শান্ত স্বরে না তো! আর আমার জন্য তোমার মন খারাপ হবে কেন ? অর্জন একটু রেগে বললো জানি না। মামনি একটু হেসে বলল আমার উপর রাগ করেছ? অর্জন বলল কই না তো ! আর আমি তোমার উপর রাগবই কেন ? মামনি দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে হাসি মুখে বললো রাগ করো সোনা, আর বেশি দিন তোমাকে ডিস্টার্ব করবো না । অর্জন একটু ঘাবড়ে গিয়ে বলল, কি সব আনাব-সানাব বলছো? আর বেশি দিন ডিস্টার্ব করবে না,এর মানে কি ? মামনি বলল হুম, ঠিকই বলছি। অর্জন বলল আমাকে একটু খুলে বলবে। মামনি বলল হুম,বলছি তুমি একটু আগে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে আমি তিন দিন ধরে স্কুলে কেন যাইনি? অর্জন বলল হুম। মামনি বলল আমাকে দেখতে শহর থেকে ছেলে এসেছে, সব কথাবার্তা সেরে বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে,হয়তো আগামী মাসের প্রথমই সপ্তাহের বিয়ের তারিখ ঠিক হবে। তাই আর বেশি দিন স্কুলে আসা হবে না। অর্জন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল,ঠিক আছে এতো ভালো খবর। মামনি বলল আর হ্যাঁ তুুমি কি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবে বলেছিলে? অর্জন বলল ওহহ ওসব কথা আজকে থাক পরে একদিন বলবো। মামনি ভেবেছিল অর্জন এসব শুনে আজ হয়তো সাহস করে ভালোবাসার কথা বলবে এবং কিছু একটা করবে। কিন্তু অর্জনের থেকে কোনো উত্তর এলো না তাই অবশেষে দুজনে চলে গেল। অর্জনের সমস্ত আশা এবং স্বপ্ন এক নিমেষে  তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল। সাহস করে কিছুু করার ক্ষমতাও নেই। যেখানে বাাবাকে বলে 2000 টাকার নতুন সাইকেল কেনাতে পারে নি, সেখানে ভালোবাসার দাবি কি করে পেশ করবে। তাই বুকে কষ্টের পাথর চাপা দিয়ে নিঃশ্চুপে থাকতে হলো। ইতিমধ্যে, মামনির বিয়ে হয়ে গেল। তারপর অর্জুন স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা দিলো,রেজাল্ট বেরোল কিন্তু সে এবার ফেল। সেই সাথে তার আরেক স্বপ্নও শেষ হলো সেই "নতুন সাইকেল"।
___________________________
English Translate : There was a simple boy in the village, named Arjun. He was a bashful also. He tied a cloth on his broken cycle handle and went to school every day. When he rode his cycle in the road bell rang continuously like Firebriged siren. His father is not gift him a new cycle because, he is not good at studying. By welding and with well maintained he managed very well his broken cycle and with it he went to school and tuition regularly. On the other side of the village there was a very poor girl named Mamani. Though she is poor, but she was so beautiful to see.Anyone can fall in her love at any time. She walks 4 mile long distance for her school every day. They were know each to other. One day Mamani was going to school with her girlfriends by foot. The girls laughed together for some unknown reason while Arjun was crossing them with his broken cycle. For that, Arjun thought that girls were laughing to me for my this cycle. So he was feeling a little angry at his mind and forcefully out on the cycle in shame.Then all day and night,he thinking about on that laugh and he began to suffer for this shame and humiliation.But there is no other way to get relief from this trouble, because the father will not buy a new cycle for him until the results are good.So the next day,he counseling his mind pain in his heart,he rushed to school on his cycle. The cycle was speeding because it was late that day to get out of the house.He was able to see the "Mamani" on the road some distance away. No one with him today, he might be late today. Hearing the sound of the automated bell of the Arjun
Cycle,the girl looked back and stood up and whene Arjun come to the approached she sweetly said, "Hello, Arjun are you give me lift on your cycle?".Although the boys and girls' schools are different, the road is one. Arjun began to thought that, a broken cycle does not have a back carrier on it so,how give lift her in this condition!In the meantime,many boys of her locality are passing by with a new cycle and career.But the girl without getting any attention to them moved to Arjun bicycle and sat front rod of the bicycle silently and saying,"Go now." Arjun was embarrassed for shy and the cycle started to ride.The girl has no sound any words in whole journey.Thus,the two silent animals came to the turning point of the roads from where their roads are different.The girl went down quietly went to her school and the boy went to his own school. This is their first day passed through quiet conversation exchange.The next day Mamani left the house and intentionally waited on the road for Arjun.After a moment Arjun came with automatic bell ringing broken cycle and stop silently on approach of Mamani. Mamani calmly and freely ride on the cycle.After that,they finished their journey waiting to hear any word from each to other at first but nobody tell a word.Then they gone to School.
Mamani thought the boy was either arrogant or shy, he did not speak a little in two days. How to start talking Arjun thinking! Arjun seemed If I talk first,the girl can think bad about me,but she also can to start talking something at first.Then in a few days,all the hesitation and shame become over come start conversation between them.Slowly the two began to love each other silently.Both were spending a good day with so much happiness and undisclosed love.














Comments